ছালাম কাকলী, মাতারবাড়ী :
কক্সবাজার জেলার ভৌগলিক মানচিত্র থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ মহেশখালী উপজেলার টুঙ্গী পাড়া নামে খ্যাত মাতারবাড়ী কৃষি ব্যাংকের এক গ্রাহকের একাউন্টে ৫লাখ টাকা জমা না করায় গ্রাহক আর ব্যাংক ম্যানেজারের মধ্যে চলছে বিভিন্ন টানা-পোড়েন। এ নিয়ে সারাদিন ব্যাংক এলাকায় চলছে ব্যাংক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সমালোচনা ।
মাতারবাড়ী ইউনিয়নের সিকদার পাড়ার বাসিন্দা মৃত দৌলত খান সিকদারের পুত্র বদরুদ্দোজা সিকদার এ প্রতিনিধিকে জানান মাতারবাড়ী কৃষি ব্যাংকে তার ১টি একাউন্ট রয়েছে। যার নং ১৮১৯। কয়লা বিদ্যুৎ কর্তৃক অধিগ্রহণকৃত জায়গার মধ্যে তার জায়গাও পড়েছে। তার জায়গার বিপরীতে অধিগ্রহণকৃত জায়গা বাবদ প্রায় ৪৪ লাখ ২৯ হাজার ১শ ৩৬ টাকা পায়। উক্ত টাকার অনুকুলে কর্তৃপক্ষ ট্রেজারী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তার একাউন্ট মাতারবাড়ী শাখায় ঐ টাকা প্রেরণ করেন। মাতারবাড়ী কৃষি ব্যাংক শাখায় উক্ত টাকা বুঝে পেয়ে গত ১৩ মার্চ ২০১৭ইং তারিখে তাকে একটি রিসিপ্ট কপি বুঝিয়ে দেয়। উক্ত রিসিপ্ট কপির ক্রমিক নং ২১০৪৩। কিন্তু তিনি গত ১৫ জুলাই তারিখে উক্ত ব্যাংকে গিয়ে তার একাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন করার জন্য একাউন্টে হিসাব চাইলে ট্রেজারী অফিস থেকে পাঠানো টাকার মোট টাকা দেখায় ৩৫লাখ টাকা। এ নিয়ে ম্যানেজার আবুল কালাম আর গ্রাহক বদরুদ্দোজার মধ্যে বাকবিতন্ডতা ঘটে। কোন স্বদুত্তর না পারায় ব্যাংক ম্যানেজার তাকে জানান, তার অন্যান্য ভাইদের কাছ থেকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ঋণের টাকা পাবে । ঐ টাকা কর্তন করে ব্লক লিষ্টে তোলা হয়েছে। এদিকে এ প্রতিনিধি ম্যানেজারের কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, ৪৪ লাখ টাকা তার একাউন্টে আসলেও একাউন্টে জমা করেছি ৩৫ লাখ টাকা। এটা সত্য। কিন্তু ব্লক লিষ্টে বাকী টাকা জমা করা হয়েছে। গ্রাহকের একাউন্টে টাকা জমা না করে এভাবে মনগড়া ব্লক লিষ্টে কর্তন করে রাখার বিধান আছে কিনা জানতে চাইলে ব্যাংক ম্যানেজার জানান, অলিখিতভাবে এধরণের টাকা জমা রাখার নিয়ম আছে। অন্যদিকে ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তারা জানান, একাউন্টে টাকা জমা না করে ব্লক লিষ্টে কর্তন করে রাখা অবৈধ । যেহেতু এর কোন ভিত্তি নেই। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গতকাল ১৬ জুলাই সারাদিন ব্যাংক এলাকায় চলছে টান্ টান্ উত্তেজনা। এ ব্যাপারে তিনি জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
পাঠকের মতামত: